নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বন্ধুরা মিলে বন্ধুর মলদার দিয়ে পেটে ঢুকিয়েছে স্টিলের গ্লাস ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায়

0

সমাচার ডেস্কঃ ওড়িশায় সার্জনদের একটি দল একজন ব্যক্তির পেট থেকে স্টিলের গ্লাস অপসারণ করতে সফল হয়েছে, যা তার বন্ধুরা মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়েছিল। এই সফল অপারেশনটি রবিবার (২১ আগস্ট, ২০২২) করা হয়েছিল। বন্ধুরা যখন তাদের মলদ্বারে এই স্টিলের গ্লাস ঢুকিয়েছিল, তখন তারা নেশাগ্রস্ত ছিল। ৪৫ বছর বয়সী নির্যাতিতা কৃষ্ণা রাউত গুজরাটের সুরাটে কাজ করেন।

 তখন সে তার বন্ধুদের সাথে প্রচন্ড পার্টি করছিল, ঠিক সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে। পরের দিন থেকেই তার অন্ত্রের নিচের অংশে ব্যথা শুরু হলেও লোকলজ্জার ভয়ে সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। বলা হচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমি করে এই কাজটি করা হয়েছে। সে তার পরিবারকেও জানায়নি। কিন্তু, যখন ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন তিনি ওড়িশার নিজের গ্রাম গঞ্জাম চলে যান।

 ততক্ষণে তার অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে, প্রচণ্ড ব্যথায় সে শুধু কান্নাকাটিই করছিল না, মলত্যাগও করতে পারছিল না। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে কৃষ্ণা রাউত এমকেসিজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চেকআপ করান। প্রথমে চিকিত্সকরা তার মলদ্বার দিয়ে স্টিলের গ্লাসটি সরানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে, অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পেট কেটে স্টিলের গ্লাস খুলে ফেলা হল।

রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উল্লিখিত স্টিলের গ্লাসের ব্যাস ছিল ৮ সেমি এবং এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৫ সেমি। আশ্চর্যের বিষয় হল যে গুজরাটে এই লোকেরা মদের পার্টি করত একটি শুষ্ক রাজ্য এবং সেখানে মদ নিষিদ্ধ। কৃষ্ণ, যিনি সুরাটের একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন, ব্যথার পরে ভুবনেশ্বরের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুগুদা ব্লকের বালিপাদারে তাঁর জন্মস্থান পৌঁছেছিলেন।

হাসপাতালে যাওয়ার পরও তিনি জানাননি ব্যাপারটা কী। চিকিৎসকরা এক্স-রে করলেই জানা গেল আসল ঘটনা। স্টিলের গ্লাস সরাতে আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে চিকিৎসকদের। এরপর তাকে আরও ৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার জন্য মলত্যাগের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মলদ্বারে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় সার্জনরা ‘ল্যাপারোটমি’ নামে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন।