সমাচার ডেস্কঃ হৃষিকেশ মণ্ডল চার (২০১৮)বছর ধরে করে চলেছেন ‘মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চোর’ ছবির কাজ। তিনি বললেন ইম্পা-র সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত তাকে মানা করার সত্ত্বেও এই ছবির কাজ তিনি করে চলেছেন । ছবির বিষয় এবং নামকরণেও তাই ছাড়পত্র দেয়নি। পরিচালক আবার ছবি পরিচালনা উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( Mamata Bandopadhyay)স্বয়ং ছবিটি বাস্তবায়িত করে নতুন করে প্রেরণা জাগিয়ে তুলেছেন। বঙ্গবিভূষণ সম্মান দিতে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘তিনি নিজে কোন পারিশ্রম নেয় না। তিনি যা করেন নিজের টাকায়। তিনি বলেন তিনি খেটে উপার্জন করেন । গানে সুর দিই,আমি বই লিখি, এবার সুর দেবেন মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চোর ছবিতে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় আপ্লুত পরিচালক হৃষিকেশ মণ্ডল। পরিচালক হৃষিকেশ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চোর ছবিতে‘সঙ্গীত পরিচালনার দ্বায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে চান। পরিবর্তে তার ক্ষমতা অনুযায়ী সাম্মানিক দেব। সেই সাম্মানিক মুখ্যমন্ত্রীর কাজে লাগলে জীবন সার্থক।’’ ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন কে? তা নিয়ে বিস্ফোরণ চলচ্চিত্রে । পরিচালক হৃষিকেশ মণ্ডল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসেবে পর্দায় তিনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে চান! বাকি চরিত্রাভিনেতাদের কথা এখনও ভাবেননি হৃষিকেশ মণ্ডল ।
ছবিতে কী দেখাবেন পরিচালক? । হৃষিকেশ জানিয়েছেন, তাঁর গল্পে, আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চুরি যাবে। সেই জুতো পাবে রাস্তার এক কাগজকুড়ানি। জুতো বিক্রি না করে নিজের কাছেই রেখে দিবেন কাগজকুড়ানি। ছবিতে মুখ্যমন্ত্রী ধরে নেন বিরোধী পক্ষই তাঁর জুতো চুরি করেছে! তার পর? উত্তর থাকবে ছবিতে।তৈরিও করা হয়ে গেছে ছবির পোস্টার পোস্টারে যেমন আছে নীল-সাদা হাওয়াই চপ্পল,দার্জিলিং আর রয়েছে নবান্নও। কিচ্ছু বাদ রাখেননি হৃষিকেশ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে হবে এই ছবি র অনুরোধ। ছবিও তো ছাড়পত্র পায়নি! পরিচালককে বিএফটিসিসি-র দ্বারস্থ দিতে হবে।পাশাপাশি, আনুষ্ঠানিক ভাবে ছবির কথা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে দেখা করবেন। ছবির গান লেখার এবং সুর দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির জন্য তিনি অপেক্ষা করতেও রাজি, রয়েছেন পরিচালক হৃষিকেশ।