সাল ২০১৮ , ফুটবল বিশ্বকাপ এর নেশায় মেতে তখন বুদ গোটা বিশ্ব। তখন একজন ২০ বছর বয়সী এক যুবক নতুন কিছু করার প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেছে। শুরু টা ভালো না হলেও সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মেলে ধরে সে। সেবারের ফুটবল বিশ্বকাপ এর ফাইনাল খেলা সহ ৯০ শতাংশ খেলার সঠিক ভবিষ্যতবাণী করে ও তারপর ২০১৯ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে সে আবারো তার এই বিষয়ে দক্ষতার পরিচয় দেন। অবিশ্বাস্য ও আজগুবি মনে হলেও খেলার দুনিয়াতে সে তাবর তাবর ভবিষ্যতবাণী করে চমকে দিয়েছেন। সবথেকে বড় ব্যাপার হলো সে বাংলার মধ্যে প্রথম যুবক যে এত বড় বড় ভবিষ্যতবাণী করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন , তিনি আর কেউ নন ২২ বছর বয়সী বায়োটেকনোলজির ছাত্র প্রীতম দাস। তবে এই পথে চলতে গিয়ে অনেক মানুষের দ্বারা হেয় প্রতিপন্ন হতে হইছে। জীবনে সাপোর্ট না পাবার জন্য হারিয়েছেন অনেক বড়ো বড়ো সুযোগ। নিজেকে একটা সময় শেষ করে ফেলবেন বলে ঠিক করে নেন কিন্তু পারেননি।
তার ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে তিনি বলেন, অনেক কারণ ছিল এত কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কিন্তু শেষমেষ আমি তা করতে পারিনি। তারও কারণ ছিল তবে আমি বিশ্বাস করি ভগবান তোমাকে পৃথিবীতে মানুষরূপে পাঠিয়েছে কিছু হবার জন্যে কিন্তু পরিস্থিতি কখনো কখনো এতটা গম্ভীর হয় পরে যে মানুষ নিজের উপর না চাইতেও আস্থা হারিয়ে ফেলে।
অঙ্কের সূত্র দিয়ে সে ভবিষ্যতবাণী করলেও সংখ্যাতত্ত্ব তেও তার অগাধ জ্ঞান আছে। অনেক না পাওয়ার দুঃখকে সঙ্গী করে সে আজও লড়াই করে চলেছে নিজের সাথে।
প্রীতম আক্ষেপ করে সমাচার কে জানিয়েছে, তাকে কোনো ব্যাপারে সাপোর্ট করার কোনো মানুষ সে পাইনি এখনও অব্দি। যাই হোক না কেনো , প্রীতম তার লড়াইয়ে জয়ী হোক আর তার জীবনের আশা পূর্ন হোক এই আশা রইলো