রাজীব ঘোষ:- আমি দেখতে পাচ্ছি করোনাভাইরাস এর মোকাবিলায় আপনার ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে আপনি নতুন রণনীতি তৈরি করেছেন। আপনার সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি বেআব্রু হয়ে পড়েছে। যা যথেষ্টই দৃষ্টিকটু। নিজামুদ্দিন মারকাজ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপনি সেই সময় বলেছিলেন, আমাকে সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একজন অভিযুক্তকে কখনোই আক্রান্ত বলে দেখানো যায়না।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি দ্বিতীয় হামলায় আরো চরমে তুলে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ।এদিন মুখ্যমন্ত্রী কে লেখা ১৪ পাতার চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, আপনার সংখ্যালঘু তোষণ প্রকাশিত হয়ে পড়েছে এবং সেটা দৃষ্টিকটু। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল এর উদ্দেশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছিলেন।
সেই চিঠিতে তিনি রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, মনে রাখবেন আমি একটি রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। আপনি একজন মনোনীত রাজ্যপাল। তার জবাবে রাজ্যপাল এদিন চিঠিতে লিখেছেন, আমি মনোনীত নই, আমি রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত। এছাড়াও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মুখ্যমন্ত্রী কে দেওয়া চিঠিতে শুক্রবার লিখেছেন, তিনি যা করছেন সেটা সংবিধান অনুসারেই করছেন। সংবিধানের নির্দেশ অমান্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে গন্ডি কাটা এবং করোনা সচেতনতা প্রচারকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন।
পাশাপাশি, করোনা মোকাবিলায় অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের চিঠিতে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কোন প্রসঙ্গের উল্লেখ নেই কেন? রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় অবিলম্বে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল তার প্রাথমিক জবাবে লিখেছিলেন, আপনি সাংবিধানিকভাবে ব্যর্থ জমিদারি চালানো আর রাজ্য চালানো এক ব্যাপার নয়। তবে শুক্রবারের চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তার চিঠির ভাষা আরো চরমে তুললেন। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির লড়াই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ।