সমাচার ডেস্কঃ ‘একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)অভিনেত্রীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন।’ একটি ম্যাগাজিনে এই শিরোনামটি প্রকাশিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্ক এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শাহরুখ খান সাংবাদিককে নপুংসক করার হুমকিও দিয়েছিলেন। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন তিনি। এই ছবির নাম ছিল ‘মায়া মেমসাব’ এবং এটি পরিচালনা করেছেন কেতন মেহতা। ফ্রাইডে ফ্ল্যাশব্যাকের আজকের এপিসোডে, আমরা আপনাকে এই ফিল্মটি এবং একই ঘটনার কথা বলছি… এটি ঘটেছিল ১৯৯২ সালে, যখন ‘মায়া মেমসাব’-এর শুটিং চলছিল। শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) এবং দীপা সাহি (পরিচালক কেতন মেহতার স্ত্রী) মধ্যে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং হওয়ার কথা ছিল। এদিকে, জনপ্রিয় ম্যাগাজিন সিনে ব্লিটজ একটি গল্প প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে পরিচালক কেতন মেহতা শাহরুখ এবং দীপাকে মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে রাত কাটাতে বলেছিলেন যাতে দৃশ্যের শুটিং চলাকালীন তারা একে অপরের সাথে আরামদায়ক হতে পারে।
খবরটি আরও দাবি করেছে যে শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)এবং দীপা সাহি কেতনের সাথে সম্মত হয়েছেন এবং পরের দিন কেতন মেহতা এবং ডিওপির উপস্থিতিতে দৃশ্যটি শ্যুট করা হয়েছিল। এই গসিপ কে লিখেছেন তাতে উল্লেখ করা হয়নি। শাহরুখ খান যখন গল্পটি পড়লেন, তখন তার পারদ চড়ল। নিবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন, তিনি একটি চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানে সিনে ব্লিটজ সাংবাদিক ক্যাথ ডি-কস্তার সাথে যোগাযোগ করেন। কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন যে ক্যাশ সেই নিবন্ধটি লিখেছেন। তিনি তাদের প্রচণ্ড গালিগালাজ করেন। শাহরুখ খানের রাগ সেখানেই থামেনি, তিনি কাইথকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধরের হুমকি দেন। পরের দিন, কাইথের বাড়িতে যাওয়ার পর তার বাবা-মায়ের সামনে শাহরুখ তাকে মারাত্মকভাবে গালিগালাজ করেন। এমনকি কাইথকে নপুংসক করার হুমকিও দিয়েছিলেন শাহরুখ। কাইথ এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি সত্যিই অনুভব করেছিলেন যে শাহরুখ তার ক্ষতি করতে পারে।
কাইথ শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এবং সুরক্ষার আবেদন করেন। এরপর পুলিশ ফিল্ম সিটি থেকে শাহরুখ খানকে আটক করে বান্দ্রা থানায় নিয়ে যায়। সেই সময় থেকেই তারকা হয়ে উঠেছিলেন শাহরুখ। এই কারণেই পুলিশ তাকে জেলে দেয়নি, বরং পুলিশ সদস্যরা তার অটোগ্রাফ নিচ্ছিল।শাহরুখ তখন পুলিশের কাছে ফোন কল করার অনুমতি চেয়েছিলেন, যা তিনি ক্যাথ ডি-কস্তার কাছে করেছিলেন। তিনি পুলিশের সামনে কাইথকে বলেছিলেন, “আমি জেলে আছি, তবে আমি তোমার কাছে আসব।” রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শাহরুখ খানের( Shahrukh Khan)ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিক্কি পান্ডে তাকে জামিন পান।ঘটনার দুই বছর পর আরেক ম্যাগাজিনের সাংবাদিক ভার্জিনিয়া ভাচা শাহরুখ খানকে জানান যে নিবন্ধটি ক্যাথ ডি-কস্টা লিখেছেন না।
এরপর শাহরুখ( Shahrukh Khan) তার ভুল বুঝতে পেরে তাকে জড়িয়ে ধরে কাইথের কাছে ক্ষমা চান। শুধু তাই নয়, তিনি কাইথকে বলেছিলেন যে তিনি চাইলে তার বাড়িতে এসে তার বাবা-মায়ের সামনে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। নিবন্ধটি কে লিখেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। ছবিটি ১৯৯৩ সালের ২শে জুলাই মুক্তি পায়, কিন্তু তার আগেই এই আপত্তিকর দৃশ্যটি সেন্সর বোর্ড সরিয়ে দেয়। যাইহোক, ২০০৮ সালে, এই দৃশ্যটি ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছিল এবং খুব আলোচিত হয়েছিল।
