বামন বলে বন্ধুদের উপহাস, আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া খুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জোগালেন রাগবি খেলোয়াড়রা!

0

সমাচার ডেস্ক: বয়সের সাথে বেড়ে না ওঠা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার লক্ষন । এই কারণে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে ওঠা হয়ে ওঠে না । এই বেড়ে না ওঠার কারণে মানসিক নিপীড়নের মুখোমুখি হন । সেই ভাইরাল খুদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জোগাল রাগবি অ্যাসোসিয়েশন। শনিবারের রাগবি লিগের অল স্টারস একাদশ বনাম মাওরি অল স্টারসের প্রদর্শনী ম্যাচে বল হাতে মাঠে নামতে দেখা যায় সেই খুদেকে।

তাকে মাঠে নামার পরই দর্শকরা হাততালি দিয়ে স্টেডিয়াম অভিবাদন জানায় । সেদিন ও ৯ বছরের শিশুটি কেঁদে ছিল , কিন্তু দুঃখে নয়, আনন্দে কেঁদে ফেলে। সেই বিশেষ মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বড়ে না ওঠার কারণে অনেকেই মানসিক নিপীড়নের মুখোমুখি হন । এই রকমই ঘটনার দেখা গেলো এক ৯ বছরের শিশু কোয়াডেনের সঙ্গে । নিজের ক্লাস রুমের সকল বন্ধুদের মতো বেড়ে ওঠাটা সাভাবিক হয়নি এক শ্রেণীর শিশু পড়ুয়ার । সেই ছাত্র নিজের সহ-পাঠিদের দ্ধারা হাসি-ঠাট্টার সম্মুখীন হয় ।সেই নিপীড়ন সহ্য না করতে পেরে মা’এর কাছে দাবি করে মৃত্যু । ক্রমাগত সেই অত্যাচার তার মনে বেঁচে থাকার আশা ছিনিয়ে নিয়েছে । কোয়াডেনের মা ইয়ারাকা বেলিসের ছেলের নিপীড়নের ভিডিওটি সোশ্যাল সাইট’এ আপলোড করেন ।

 তিনি দাবি করেন , মা হিসেবে আমি ব্যর্থ। আমার মনে হয় শিক্ষাব্যবস্থাও ব্যর্থ।” তিনি আরও বলেন, “আমি কোয়াডেনকে স্কুলে আনতে গিয়ে দেখি এক সহপাঠী অর উচ্চতা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছে। ওকে শাসাচ্ছে। আমাকে দেখেই ও আতঙ্কে গাড়ির দিকে ছুটে আসে। ও চায়নি আমি ভরা স্কুলে সেই সহপাঠীকে কিছু বলি। তারপরেই গাড়িতে উঠে কাঁদতে শুরু করে।”

কোয়াডেনের প্রায় ৭ মিনিটের যে ভিডিও তার মা সোশাল সাইটে দিয়েছেন, তাতে দেখা গিয়েছে; ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছে সেই খুদে। আর বলছে, “আমাকে একটা দড়ি দাও, নিজেকে শেষ করে দেবো। ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করব। আমি চাই কেউ আমাকে মেরে ফেলুক।”