মহেঞ্জোদারোঃ বিখ্যাত বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এর আজ শুভ জন্মদিন 

0

অমিত সরকারঃতিনি খনন করেছিলেন ইতিহাসের পাতা থেকে। ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস। তিনি যেভাবে বর্ণনা করে গেছেন ঠিক তার পরবর্তী ধাপে ইতিহাসের অন্যতম স্তম্ভ যেন রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। 1922 খ্রিস্টাব্দে বিশিষ্ট বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরে সিন্ধু প্রদেশের মহেঞ্জোদরো নামক স্থানে উন্নত সভ্যতার সন্ধান পান।

এপ্রিল ১২, ১৮৮৫ – মে ২৩, ১৯৩০) ভারতের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ। তিনি আর.ডি ব্যানার্জি নামে অধিক পরিচিত। ১৯১১ সালে তিনি ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণে যোগ দেন। ১৯২২ সালে তিনি হরপ্পা সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র মহেঞ্জোদাড়ো পুনরাবিষ্কার করেন। ১৯২৬ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।

তার উল্লেখনীয় কৃতিসমূহঃ ২ খন্ডে বাঙ্গালার ইতিহাস, পাষাণের কথা, শশাঙ্ক ও ধর্মপাল।মহেঞ্জোদারো সভ্যতার সুপ্রাচীন ধংসাবশেষ আবিষ্কার তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। কুষান সম্রাট কণিষ্ক সম্পর্কে তিনি যে সব তথ্য আবিষ্কার করেন তা প্রামান্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাংলায় পাল রাজবংশ সম্পর্কিত বহু তথ্য তিনি আবিষ্কার করেন। পাহাড়পুরে খননকার্যের পরিচালক ছিলেন তিনি। মুদ্রাসম্বন্ধীয় বিষয়ে বাংলাতে প্রথম গ্রন্থ রচনা তার অন্যতম কৃতিত্ব। খননকার্যের ফলে মহেঞ্জোদারো সভ্যতার ন টি স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে। অর্থাৎ প্রথমবার ধ্বংসের পর সেখানে আটবার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল এই গুলিকে ক্রমান্বয়ে আবিষ্কারের পথ দেখান তিনি।

তিনি বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ ও স্কুল থেকে ১৯০০ সালে এনট্রান্স পাস করেন। একই বছর তিনি নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে কাঞ্চনমালা দেবীকে বিয়ে করেন। রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে এফ.এ পাস করেন। এবং প্রেসিডেন্সি কলেজভর্তি হন। ১৯০৭ সালে ইতিহাসে অর্নাস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে একই বিষয়ে এম.এ পাস করেন।

মহেঞ্জোদরো শহরটির পশ্চিম দিকে প্রায় 40 ফুট উঁচু একটি বিশালায়তন ঢিবির উপর একটি দুর্গ ছিল। অঞ্চলে কিছু ঘরবাড়ি ও আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি শাসকদের বাসস্থান। এভাবেই আবিস্কারের তালিকা কখনো উঠে এসেছে রাস্তায় নর্দমা কখনো শ্রমজীবী মানুষদের বাসস্থান কখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সভা কক্ষ এর মত জীবাশ্মের ছবি।