সমাচার ডেস্ক: এই লকডাউনের মধ্যেই সাইকেলের প্যাডল চেপে ১২০০ কিমি রাস্তা পার করে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরলেন ১৫ বছরের জ্যোতি কুমারী । অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সাতদিনে গুরগাও থেকে বিহারের নিজের গ্রামে ফিরেছেন জ্যোতি।
এবার সেই জ্যোতিকে ট্রায়ালে ডেকেছে সাইকেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। লকডাউন উঠলে ই সামনের মাসে দিল্লিতে যাবেন জ্যোতি। সমস্ত খরজ বহন করবে সাইকেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। সাইকেল ফেডারেশ এর চেয়ারম্যান ওঙ্কার সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জ্যোতি ট্রায়ালে পাস করলেই দিল্লির ন্যাশনাল সাইকেল অ্যাকাডেমিতে রাখা হবে।
Bihar: Jyoti,who cycled around 1200 km carrying her injured father from Gurugram to their native place in Darbhanga,amid #COVID lockdown,has been offered trial by Cycling Federation of India. She says,”I’m very happy that I got offer,will go to Delhi for trial next month”.(22.05) pic.twitter.com/qNf41Zsf03
— ANI (@ANI) May 23, 2020
টানা সাতদিন তার মধ্যে দুই দিন খাবার ও জুটেনি,এই জটিল পরিস্থিতিতে ১২০০ কিমি রাস্তা সাইকেল চালানো মুখের কথা নয়।তাও আবার সাইকেলের পিছনে ক্যারিয়ারে অসুস্থ বাবাকে বসিয়ে ১২০০ কিমি , এই বিষয়টি অবাক করছে সাইকেল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া কর্তাদের।
উল্লেখ্য,গত মার্চ মাসে একটা দূর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হন জয়তীর বাবা। তিনি পেশায় রিকশা চালক । গুরগাওয়ে রিকশা চালাতেন। নিজের অসুস্থ বাবাকে বাড়িতে ফিরেয়ে আনতে গিয়েছিলেন মেয়ে জয়তী । কিন্তু তার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন । শেষ পর্যন্ত বাবার নেওয়া ভাড়া বাড়িতে আটকে ছিল বেশি কিছু দিন ধরে।
বাবার ইনকাম বন্ধ তো আগে থেকেই হয়েগিয়েছিল । তার মধ্যে নতুন করে লকডাউন । না ছিল খাওয়ার টাকা , আবার এদিকে বাড়িওয়ালা তাদের ভাড়া না দিলে তুলে দেওয়ার হুমকি। শেষ পর্যন্ত বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় জয়তী। বাড়িতে আসতে সময় লাগে প্রায় ৭ দিন।তার মধ্যে ২ দিন কপালে খাওয়ার জুটেনি। রাস্তায় অনেকেই খাবার দিয়ে সাহায্য করছেন ।
জয়তী বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , কাজ বন্ধ হয় অসুস্থতার জন্য , টাকা ছিল না ওষুধ কেনার , তবে স্ত্রী গয়না বিক্রি করে কিছু টাকা পাঠিয়েছিল । সেই টাকা দিয়ে কোন রকম এক বেলা খায়ে দিন কাঁটায় । ওদিক থেকে বাড়ি ওয়ালা টাকার জন্য চাপ দেয় । আমি বলে ছিলাম লকডাউনের পর সমস্ত টাকা মিটিয়ে দিব । কিন্তু কিছুতেই রাজি হয়নি । আমার মেয়ে কিছু টাকা ধার করে সাইকেল কিনে বাড়ির পথে রওনা দিলাম বাব মেয়ে মিলে ।