গুগোল জানাচ্ছে কাইফি আজমি উর্দু কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন তিনি

0

একজন ভারতীয় প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। তার কবিতা সমাজসচেতনায় ঋদ্ধ।

কাইফি আজমি ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে এক জমিদার পরিবারে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি শওকাত আজমিকে বিয়ে করেন। তার কন্যা শাবানা আজমিভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি ছাত্র জীবনে উর্দু ও ফার্সি সাহিত্যে লেখাপড়া করেন। কিন্তু ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতছাড় আন্দোলনের সময় লেখাপড়া ছেড়ে দেন।

১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। এরপর পার্টির আদেশে মুম্বই গমন করেন। এ সময় তিনি আলী সরদার জাফরি সম্পাদিত দলীয় পত্রিকা কাওমি জং-এ যোগ দেন। অন্যান্য উর্দু কবিদের মতই কাইফি আজমি গজল দিয়ে কাব্যচর্চা শুরু করেন। ধীরে ধীরে সামাজিক সচেতনতামূলক কাব্য রচনা করতে থাকেন। তার গ্রন্থের মধ্যে আখির-ই-সাব, শারমায়া, আওয়ারা সাজদে, কৈফিয়াত, নঈ গুলিস্তাঁ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ১৯৫২ সালে গীতিকার হিসেবে মুম্বাই চলচ্চিত্রে কাজ আরম্ভ করেন।

কাইফি আজমি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পদক লাভ করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ারা সাজদেকাব্যগ্রন্থের জন্য লাভ করেন সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার। এছাড়া তাকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য একাডেমি ফেলোশীপ (২০০২) প্রদান করা হয়।

কাইফি আজমি ২০০২ সালের ১০ মে ৮৩ বছর বয়সে মুম্বইতে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি গর্জে উঠেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে।