বাবার স্টেশনে খাবারের দোকান; বঙ্গকন্যা চিত্রকলায় রৌপ্য পদকে ভারতের মধ্যে অভাবনীয় সাফল্য! গর্বে বুক বাঁধলেন শিক্ষক মিঠুন সরকার

0

অমিত সরকারঃ চিত্রকলা ভাস্কর্য যা ভারতের ইতিহাস তথা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অন্যতম বিস্ময়। আর এই চিত্রকলা গড়ে ওঠে চিত্রকরের নিপুণ কুশলতার মাধ্যমে। আর কোন যখন ক্ষুদ্র শিল্পী তখন তার চিত্রকলার প্রাপ্ত সম্মান পায় তা হয়ে ওঠে আরো প্রতিভার বিচ্ছুরণ এর মাধ্যম। যে মেয়েটি তার পাঁচ বছর বয়স থেকে সেই চিত্রকলার প্রতি তার নিপুণতা দেখিয়েছে সেই আজকেও স্বীকৃতির সম্মান পেয়েছে। নিখিল ভারত সঙ্গীত সমিতির আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কর্ণধার শুক্লা চক্রবর্তী। ডিডি বাংলা এবং রেডিও সঙ্গীত জগতের অন্যতম শিল্পী মানষ চক্রবর্তী। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরও আসাম, বিহার আন্দামান এবং পশ্চিমবঙ্গের বহু রাজ্যের শিল্পীরা।

এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলেছিলেন এই কৃতি বর্গের কিছু হাতে তৈরি শিল্পের সহবস্থান। পশ্চিমবঙ্গের ছোট্ট একটি শহর কালিয়াগঞ্জ। সেখানকার নাম-না-জানা একটি স্টেশন কালিয়াগঞ্জ স্টেশন। আর সেখানেই ছোট একটি খাবার দোকান হয়তো প্রতিনিয়ত প্রান্তিক দোকানে বিক্রি তেমন হই হই রই রই নেই। কিন্তু তার মেয়ে আজ সেখানে পুরস্কার পেয়ে আনন্দে গর্বে বুক ভরেছে বাবার। বাবার নাম প্রকাশ প্রসাদ।

মেয়ের নাম অমিতা প্রসাদ। কালিয়াগঞ্জ এর কলেজের ছাত্রী অল ইন্ডিয়া নিখিল ভারত সঙ্গীত সমিতির চিত্রকলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নিয়েছে। বেহালা শকুন্তলা পার্কে 28 শে ডিসেম্বর এক স্বর্ণালী সন্ধ্যায় তাকে পুরস্কার প্রদান করেন কর্তৃপক্ষ। ভারতের সমস্ত প্রতিযোগী মধ্যে থেকে এমন পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে গর্বিতা এই বঙ্গ কন্যা। প্রথম স্থান আসামের দখলে থাকলেও বঙ্গকন্যা ছিনিয়ে নিয়েছে দ্বিতীয় স্থান।

 সেই মেয়ের সেই শিক্ষক যিনি এই চিত্রাঙ্কনে তাকে হাতে খড়ি দিয়েছিলেন তিনি মিঠুন সরকার “চিত্রাঙ্কন বিদ্যাপীঠ” এর অন্যতম প্রধান শিক্ষক তিনি। তার হাত ধরেই এই অনুষ্ঠান এ পুরস্কৃত ছাত্রী আরো উৎফুল্ল। শিক্ষকের গলায় ও গর্বের সুর। তিনি এ পুরস্কারে খুবই খুশি এবং তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন ছাত্রীর ভবিষ্যতের উজ্জ্বল কামনায়। তিনি আরো এগিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যান্য ছাত্রীদের যাতে তারা এভাবেই নিজেদেরকে আরো সুগম করে তোলে।