রাজীব ঘোষঃ- করোনা ভাইরাস যেমন পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে,তেমনি মিল্লি আল আমিন কলেজের ভাইরাস হচ্ছেন বৈশাখী।এই মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এদিন মিল্লি আল আমিন কলেজের পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল বিকাশ ভবনে।সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানে বৈশাখীকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।সেই বৈঠকে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী ছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে সবাইকে চা দেওয়া হলেও প্রথমে বৈশাখীকে দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ।সেখানে বৈশাখীকে জানানো হয়েছে, কলেজের শিক্ষকদের প্রাপ্ত সুবিধার কাটছাঁট করা হবে।
যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বৈশাখী অপমানের অভিযোগ করেন, সেই শিক্ষককে শিক্ষা দফতরের উচুঁ পদে বসানো হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।বৈশাখী তার প্রতিবাদ করলে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তখন কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্যরা হাসাহাসি শুরু করে দেন।স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের বৈঠক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।কিছুদিন আগে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।তার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন।দীর্ঘদিন ধরেই বৈশাখী তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন।
তার এই যোগাযোগ করার কারণে শোভনের ফের তৃণমূলে ফেরত যাওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছিল।শোভন বিজেপিতে যোগদান করেও সক্রিয় হননি।পুরসভা নির্বাচনের আগে তাই তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে চর্চা শুরু হয়।তার উপর বৈশাখীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছিল।তবে এদিন বিকাশ ভবনে বৈঠকের শেষে বৈশাখী কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে গিয়েছেন।ফলে এই বিষয়টি নিয়ে জোরালো জল্পনা শুরু হয়েছে।
