সমাচার ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া শিক্ষকের চাকরি ফেরত দিতে। আদালত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সমালোচনা করে বলেছে যে বাংলা এমন জায়গায় পরিণত হচ্ছে যেখানে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। লক্ষণীয় যে মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা মিরাজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু চার মাস পরে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার শুনানি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর কাছে এর কারণ জানতে চান।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এর জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বলেন, বাংলায় এখন টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। শিক্ষকের চাকরির যোগ্যতা না থাকলে কিভাবে নিয়োগ দেয়া হলো এবং কিভাবে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো তার সার্ভিস বুক তৈরি করার সময়? এরপর তিনি মিরাজকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এই একই বিচারক গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের পর সব কিছুতেই কেলেঙ্কারি হয়েছে। একে একে সব বেরিয়ে আসছে। অন্যদিকে, টেট পরীক্ষার্থীদের নম্বর বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধ মামলার শুনানির সময়, বিচারক গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে সম্পূর্ণ বিবরণ চেয়েছেন। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, নম্বর বাড়ানোর নিয়ম মানা হয়েছে কি না? এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৩১ আগস্ট।