দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি !পার্থ-অনুব্রত গ্রেফতারের পর মমতার বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন

0

সমাচার ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (বেঙ্গল এসএসসি কেলেঙ্কারি) এবং ৫৫ কোটিরও বেশি মূল্যের নগদ, সোনা এবং বৈদেশিক মুদ্রা বাজেয়াপ্ত, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বীরভূম জেলায় ইডি এবং গরু পাচারের মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। তৃণমূল। (টিএমসি) সভাপতি ও জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এই দুটি বিষয়ে বিজেপি এখন বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুক্রবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তার মেয়াদের প্রথম বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তিনি ৭ই সেপ্টেম্বর নবন অভিযান অর্থাৎ রাজ্য সচিবালয় মার্চ ঘোষণা করেন। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপিতে বড়সড় আন্দোলনের দাবি উঠেছে। শুক্রবার সেই আন্দোলনের ঘোষণা দেন সুকান্ত। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম সুকান্তের নেতৃত্বে বড় আন্দোলন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। তবে সংসদে অধিবেশন থাকায় একদিনের বেশি আসতে পারেননি সুকান্ত। শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরে আসা সুকান্তের সাথে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে সুকান্ত বলেছিলেন যে রাজ্য সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ সামনে আসার পরে এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত। এই দাবিতে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সারা রাজ্য থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসবেন। দলের সকল সাংসদ ও বিধায়ককে আগামী কয়েক সপ্তাহ আন্দোলনের প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মজুমদার বলেন, ১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস। বৃহস্পতিবার ছিল গরুর স্বাধীনতা দিবস। তৃণমূল নেতারা শুধু চোরদের ট্রাম ও বাসে বেরোতে বাধা দিচ্ছেন। বাইরে গেলে লোকে চোর বলে। এই আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন বলেন, বিজেপি এখন বিভিন্ন অংশে বিভক্ত। প্রথমে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে এটি সুকান্ত, দিলীপ বা শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপি আন্দোলন কিনা।